মুখবন্ধ
(একটি কাব্যগ্রন্থের মুখবন্ধ)
অ্যাল্-গ্রাফ্ প্রেসের জমিদারি
মাঝে মাঝে ডিক্রিজারি
ভাইরাস পাইক হানাদারি
মাঝে মধ্যে গাপ্ হয়ে যায়
যাবৎ লেখা-লেখি
তারই মধ্যে সনৎ বাবু
করেন বসে প্রুফদারি
হট্টগোলে দিন কেটে যায়
মাঝে মাঝে কাজের চাপে
জাগরণে রাত কেটে যায়
বেশ তো ব’সে কাটছিল দিন
হেসে খেলে কষ্টে সৃষ্টে
সুখের দুঃখের হিসাবদারি
তারই মধ্যে কী উৎপাত
বিনা মেঘে বজ্রপাত!
যা হবার তা হবেই হবে
ভবিতব্য কে খণ্ডাবে –
‘ভূতের বোঝা কে বইবে
জীবন একটা ঝকমারি’
এসব ভেবে কী কুক্ষণে
আমাদের সেই সনৎ বাবু
লাভ-লোকসানের জাবদা খাতায়
ভাবনাহীন অগ্র পশ্চাৎ
দিলেন লিখে অকস্মাৎ
– ‘আমায় দে মা তবিলদারি!’
ঘোর কলি কাল একেই বলে
হাতের লক্ষ্মী পা’য়ে ঠ্যালে
এখন তাঁরে ঠেকায় কে
আমায় অব্দি পাকড়-কে
বলেন, ‘লিখুন মুখবন্ধ’
হায় ঈশ্বর খোদাবন্দ
গোটা একটা কাব্যগ্রন্থ!
সবাই মিলে খুব বকবেন তো
কী দুঃসাহস, বুকের পাটা
পণ্ড করবেন পুজোর কেনা-কাটা!
সকলে তাঁর সমবয়সী
ঘুরে বেড়ায় গয়া ও কাশী
পুঁটলি বাঁধছে পুণ্যফল
স্বর্গবাসের লোটাকম্বল
সেসব ফেলে অর্বাচীন
পরপারের ভাবনাহীন
চতুর্দিকে নাতিনাতনি বাড়বাড়ন্ত
মরি মরি একটু যদি লাজ্ থাকতো
আর কী কিছু নাম ছিলো না
– ‘ইচ্ছেপূরণ’!
বুড়ো কালের ভীমরতিতে বেশরম্
–
ম র ণ!
হতেই হবে কে লিখেছে
প্রথম পাতে শুভ-ইচ্ছে
–
শক্তি মুখো
ওঁকে চিনি, চিরটাকাল বাহির মুখো
বরং আসুন তামুক খাই
বাত বেদনা রাজা উজির
পিঠে পুলি পায়েস সুজির
তলে তলে তল্পি গোটাই
সর্বকালেই থাকে, আছে
দুটো-একটা প্রাচীন গাছে
পাতার বাহার বেড়েই চলে
ডালে দোলে রকমারি ফুল
সাদা চুলের মধ্যে বেজায়
কালো রঙের ধারা –
বেহিসাবি, এঁরা সৃষ্টিছাড়া
এঁদের কাছে হার মেনেছে
বেবাক বুড়ো লোকের পাড়া
Comments
Post a Comment