Posts

Showing posts from November, 2013
বিবেচনা   সংশোধন ক'রে দেবো বাক্যের গঠন বড়ো নির্মম হ'য়ে গেল- ভাবি, বলা যেত মৃদুতর আরও কঠোর পাথর নির্দয়তা না-দিলেই হ'তো শব্দে ঐ শান্‌ না দিলেই বরং অহল্যা অঙ্কুরকাতর আদিমের রঙে শোভনীয় হ'ত অভিমান ভাবি তুলে নেবো কিছু ভার, কিছু দমনীয় অনির্বাচিত, নিয়ন্ত্রণহীন কিছু স্ফুলিঙ্গ ক্ষণস্থায়ী শস্যখেতের কাছে অপরাধী থেকে যায় বাঁধভোলা বানভাসী সোঁতা মাসুলের কাছে কেন অবিবেচক অধমর্ণ হবো    
এসো ভুল     অমার্জনীয় ভুলগুলি বৃথাই মার্জনীয়। চক্‌চকে শাণিত করার চেয়ে মার্জনীয় ভুলে ভরি ভবিষ্য বাগান   এসো খুলে রাখি কবচ এসো তুলে রাখি ঢাল শিরস্ত্রাণ প্রতিরোধ   ন্যুব্জের ক্লেশক্বাথ কান্না করুণায় ঝকমকিয়ে উঠুক হিংস্র তরবারির ধারে নিঠুর চিৎকারের আগায়   এসো ভুল মারো এসো ভুল কাটো বিদ্ধ করো ক্রুশে   মার্জনার হৃদয় থেকে গড়িয়ে নামুক শুদ্ধতা ভঁরে যাক মানস সরোবর   শিশির অশ্রু মেখে জেগে উঠুক ভোরের পলাশ  
হোয়াট ইজ আর্ট? তন্ময় বীর উৎসর্গপত্র-র দিকে আঙুল দেখিয়ে সুবীরদা বললো, এটা আবার লিখতে হয় নাকি!– লেখা ছিল “সুরমাকে ভালোবেসে–” যখন লেখা হচ্ছিল, প্রুফ দেখা চলছিল, বারবার টাইপ করা ছেলেটিকে বোঝাতে হচ্ছিল, এই লেখাটা যাবে সমস্তটা সাদা রেখে একেবারে নিচের থেকে চার লাইন উপরে ডান দিকে, তখন একবারও মনে হয়নি ভাষাটায় সূক্ষ্মতা হারাচ্ছে। লঘু হয়ে যাচ্ছে ‘ভালোবাসার’ ভার। এই প্রথম খচ্‌ করে উঠলো, তাও উদ্বোধনের দিনই। কানে করাতের অস্বস্তি জাগালো কথাগুলো, --“বউকে দিচ্ছ, আবার লিখেও দিচ্ছ ভালোবেসে দিচ্ছ! মাঠে মারলে তো উৎসর্গের আর্ট-টা!” কানের কাছে মাথা এনে অন্তরঙ্গতার ভাব এনেও সকলকে শুনিয়ে বলল, --“বউকে চুমু দিয়ে বলো নাকি এটা কিন্তু ভালোবেসে দিলাম!” “আমরা ঠিক বুঝতে পারি কোনটা চব্বিশ ক্যারেট, সার্টিফিকেট লাগে না।” -- সুচন্দ্রা পাশ থেকে কটাক্ষ হেনে দুল নাচিয়ে সুযোগের সদ্বব্যবহার করল। মানিক’দা বলল, --“ও! এবার বুঝেছি কেন তোমরা ঠোটরঞ্জনী লাগাও।” ঠোটরঞ্জনী কথাটায় হাহাহিহি শুরু হলো। তারপর কথার গাড়ি ছুটল নানান দিকে। কিন্তু মনের মধ্যেটা খিচ্‌ড়ে রইল। কিছুতেই বইপ্রকাশ উপলক্ষ্যে আজকের সব বিল নিজের গ্যাঁট থেকে বা