Posts

Showing posts from December, 2013
পৌষমেলা সরে যাচ্ছে  ঝাপটার ঢাল দামাল চপল নদ পদানত ক্রমশ শালবীথি মহুয়ার ঢল তাল, সাঁওতাল সরলতা সন্নিকট এঁটেলে দৃঢ়তা মুহ্যমান পদতলে খোয়াই সটান সোনাঝরা ক্যালিপ্টাস মর্মর ঢেকে দেয় শহুরে সংলাপ চিতল হরিণ নাচ চিরন্তন কোপাই-এর স্রোতে মেশে ছাইভস্মে কঙ্কালীর চিতা একতারা বেজে ওঠে রিন্‌ রিন্‌ জনতার জটিল জঙ্গলে ছুটে যাচ্ছ এই সব টানে ফেলে যাচ্ছ ছেড়ে যাচ্ছ দূর ছাই আপদ জঞ্জাল যেন আর ফেরা নেই যেন কেউ কিছু নেই ধুলোমুঠি সোনা হবে অমল রাত্রির টানে ছাতিমের নিবিড় কোল সূর্যপ্রতীম সেই তার বিভা।
ভবিষ্যৎ করতলে হৃদ্‌পিণ্ড জবাকুসুমসঙ্কাশ কণ্ঠে মন্ত্র নিয়ে সটান আঁধারের চিরত্ব চিরে ঊষার পেছনে ছুটবে সকাল - ঐ তো শিল্পী তার কান কেটে অপেক্ষায় ঐ তো নারী তার স্তন কেটে সাহস্য লিঙ্গ উৎসর্গিত হচ্ছে ধর্ষক নিজেই বেছে নিচ্ছে অনন্ত সশ্রম কারাবাস মিথ্যুক জিভে রাখছে জ্বলন্ত অঙ্গার সন্ত্রাসী তার বন্দুকের নল রাখছে সন্তানের মাথায় নিজস্ব পতাকায় পা রেখে দাঁড়িয়ে আছে রাজনীতিক রাজা কন্যাকে তুলে দিচ্ছেন নিষ্কপর্দক প্রেমিকের হাতে শিক্ষক নিজের কান মুলে নিচ্ছে নিজে ধার্মিকের উত্তরীয় বিসর্জন হ'ল আঘাটার জলে আল্লা বললেন    ওঁ ঈশ্বর বললেল    আল্লা হো আকবর খ্রিস্ট বললেন    মণি পদ্মে হুঁ বুদ্ধ বললেল     এদের ক্ষমা কর জানি না এর পর কী কার অপেক্ষায় সমাবেশ অতীতকে জানি জানি কৃতকর্ম সজ্ঞানের ভ্রম অর্ঘ্যগুলি নির্মম অর্ঘ্যগুলি নিষ্ঠুর আত্মোৎসর্গে সুন্দর! জানিনা এর পর কী হবে ভবিষ্যতে কী আছে অতঃপর    
পূর্ণ হোক এই তো শাশ্বত জুটি নীরন্ধ্র অন্ধকার অভিমুখে রক্তাক্ত গোধূলির লালে সর্বাঙ্গে সর্বনাশ মেখে নিশ্চিন্তে গঙ্গাযাত্রায় চলে   ওরা জানেও না, দর্শনীয় দেখার আনন্দে মেতেছে সবাই বোঝার গভীর সাহস নেই ধুলো খেলাও ভুলে গেছে, পরিহাস কারোরই পরিত্রাণ নেই অজগর ব্যাদানের দিকে সারিবদ্ধ জোড়ায় জোড়ায় অন্ধের সঙ্গে খঞ্জ নুলোর সঙ্গে কবন্ধ বোবার সঙ্গে বধির ধার্মিকের সঙ্গে চাটুকার বুদ্ধিজীবির সঙ্গে নেতা শিল্পীর সঙ্গে দালাল জোড়া শালিখের পয়ায় দিন ভালো যাবে ভেবে জয়-জোকার মুহুর্মুহু ধুনোর সুবাস পুণ্য হোক, পুণ্য হোক মানবের জল বায়ু মানুষের বাতাস আকাশ তর্পণে পবিত্র হোক  আগামী সকাল  
অন্ধই ভরসা গভীর সন্দিগ্ধবাদী চতুরস্য শাঠ্যে উত্তম অথবা, বিকল্প খুঁজি প্রয়োজনে চতুর্থ, পঞ্চম বরং ভালো যে কোনো সাতে নেই পাঁচ পা-ও নেই যার পদক্ষেপে অসাড় পদচ্যুতি নেই সুতরাং রং নেই বলে রংরুট-ও নেই নিশ্চিত ভারহীন বলহীন সুস্থির অভিমুখহীন অরেখ মত নেই মতান্তরও নেই বিপক্ষের সাথে অযথা অবিকল্প কুলদেবতা এই হোক শোয়া বসা  হাসা কাঁদা সকলই সমান যাঁর লক্ষ্যপক্ষহীন, ভ্রমহীন উড়ান না-জানা খঞ্জের নিরুপ্রদ্রব যষ্ঠি অন্ধই ভরসা   
এভাবেই! তারও তো স্থান কাল আছে সম্ভাবনার শতাংশ কিছু পাথর ফাটানো শিকড় সাধনাসফল জল পাবে কিনা বধির উপমহাদেশে জন্মনো নিরম্বু মেয়েটি উত্তর পাবে কিনা জ্বলন্ত ম'রে গেল যারা ফালা ফালা হল যার যোনি   এখনও যে স্বপ্ন জেগে আছে সন্ত্রস্ত নগরের চারি ভিতে হরি ৎ শস্যের মাঠে মাঠে লোহিত জিজ্ঞাসাচিহ্ন তামসী নিশানা রঙিন ধর্মান্ধ কুক্কুট, মদমত্ত; পবিত্রতার সুগন্ধ মাখা শপথের বাক্যাবলি মেধাবী প্রবঞ্চনা উদ্ধত ক্ষমতার দাপ সবই কী এক পথে ধুলো আর কাদা সফেদ কুয়াশা নীল সগুপ্ত গূঢ় প্রকরণে সোনা হয়ে যাবে মিলে চলে যাবে এক বৈকুন্ঠের দিকে নিশ্চিত দ্বিধাহীন!
দিবাস্বপ্ন ভুল যাত্রাও সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেয় ... আনন্দবারতা কী খোশবাই তার! অশ্রু মিশে আছে শিরায় শিরায় ললাট লিখন না-প'ড়া যানের আরোহী হাসে লক্ষ্যে চলে যাবে ঠিক... রক্তমাখা ধার্মিক নিশ্চিন্তে ঘুমায়, অকাতরে ভাষা ভোলে মাতৃভষার প্রেমিক, কৃতঘ্ন অবিচারে অম্লান কৃতজ্ঞতা কুড়ায় প্রতিশ্রুতি দৃঢ়মুষ্ঠি ভাষণ, রঙিনের ফোয়ারা সব ভুল একদিন মেলে দেবে ডানা ফুল হবে, প্রজাপতি কে করিবে মানা দিবা স্বপ্নে কম্পোজারও ভুলে মারে শেষ শব্দদুটি.. ' কখনো কখনো '