Posts

Showing posts from 2015
নিতান্ত পোশাক মাত্র নয় তারও ভেতরে এত গোপনীয় তোমাদের দেখে শেখা দুয়ারে আগল, তালাচাবি সভ্যতার অবিশ্বাসী আমদানি আমাদের বাঁশি চুরি করে তোমাদের ঠাকুর প্রেমিকা কাঁদায় বিরহ ছিল না আমাদের, মরদ মরদ ছিল মেয়েদের পাশে তাকে পুরুষ মনে হতনা কখনও মহেঞ্জোদাড়ো লোথালের নীচে কি ভালো যে আছে শবের শরীর অনার্য আরক মাখা এই যোনি জন্ম উপত্যকা এই স্তনাগ্রে অমৃতসুধা পিতৃশিশ্নে জন্মবীজ তোমরাই জ্ঞানাঞ্জনচক্ষুশলাকা তোমারি কল্যাণে আজ চোখ ফোটে কম্পিত সভয় আমার সন্তানের অপত্য দেখে জনক জননীর লজ্জাহীন পৌরাণিক মহিমা শরীর যে ভীষণ লজ্জা শরীর যে ভীষণ নাজুক শরীরের শাঠ্য শোষণ রাজনীতি তোমারা শেখালে যে পোশাক তোমাদের দান আমাদের তুলো দিয়ে বোনা সভ্যতার নির্লজ্জ সেনা নিজেরাই ছিঁড়ে নিচ্ছ দিবালোকে সন্তান সাক্ষী রেখে জনারণ্যে হুহুঙ্কার তেজে প্রায় বিস্মৃত কেশরীবিক্রম মাতঙ্গিনী মাতৃমাতন পিতার বাহুতে বুকে শিরায় থাবায় নখে শান তীব্র চোখ গর্জনের নাদ মায়ের স্তনবৃন্ত নিতম্বের কঠিনে প্রতিহত সুসভ্য কামুক আঁধার ঘন তিমির কেটে অরণ্য অতল থেকে বল্লম ও
মহারানি মহারাজা আমি অনুগত খোজা এসব লিখব বলে লিখিনি কিন্তু অচেতনে সত্য ও সোজা এড়িয়ে গেছি সর্বদা কোথাও বীর্যের গন্ধ খুঁজে পবেনাকো তুমি সামান্যতম উত্থিত পতাকা এসব লিখব বলে লিখিনি কিন্তু কাগজের বাঘ, নৌকা সাগরের দারুণ জলে ভাসিয়ে কুড়িয়েছি হাজারও বাহবা মহারানি মহারাজা যাসব লিখব বলে লিখিনি কিন্তু মরে যায়নি খামকা ঘুমিয়ে রয়েছে অজগর চুপে যাসব লিখেছি সব তোমার লেখনী দিয়ে আমার ব্রহ্মাস্ত্র রয়েছে সিন্ধুকে 
কবি তাপস আছি রাতদিন ঘরে বসে জং ধরেছে ঠ্যাং মজ্জায় ফোনে ধরি - হে, তাপস রায় ... ডাক আসে এক কাব্যের আড্ডায় লেখা জমে গেছে ঘন টন্‌ টন্‌ লাগে চাপা মনটায় ফোনে ধরি - হে, তাপস রায় ... ঠিক ছাপা হয় এক পত্রিকায় পিঠে বাঁধা তাঁর চলমান এক ডাকবাক্স মাথায় অবিরাম অলোকরঞ্জন আলোক রায় শনি রবি কফি মগে হৈ হৈ আড্ডায় যাকে ঘিরে বসে যায় কবিতার মক্‌শো খুঁজে পেতে সুইনহোতে কবিকে ছাপায় চুল হিজিবিজ চাপকান দাড়ি ভোরে উঠে ব্যস্ত যোগায়  তাঁর নাম তাপস হে, তাপস রায় 
এবার কী হাসব তবে আমরা তো চেয়েছিলাম আমিতো কেঁদেছিলাম অন্ধকারে বিষণ্ণ ব্যথায় সমূহের কাছে প্রতিহত বা এককের দাপটে, সমস্ত শরীর কাঁপিয়ে আকাশ ফাটিয়ে - যাক ধ্বংস হয়ে প্রলয় আসুক           আন্তরিক প্রার্থনায় এই তো এসেছে সে এভাবেই আসে জমিয়ে তোলার চাপ ভয়াল জাগানিয়া এবার কী হাসব তবে  - হাঃ হাঃ না-কি পাততে হবে কান মৃদু সুরে বাজছে দূরে নির্মল নতুন কলস্বন
সত্যাসত্য নেমে আসতেই হয় জমিনে উদ্ধত অভ্রংলিহ কাঁপে, পায়ের নীচে মাটিই সার - সত্য এরকমই সহজ কাকে অভিশাপ দেব কাঁধে গলায় মাথায় চেপে আছে উদ্যত চাপাতি ভেসে যাচ্ছি রক্তগঙ্গায় চুরচুর, অষ্টবক্র; মেদমাংস শিয়াল গৃধিনী কুত্তার উল্লাসের সম্পত্তি যাদের মানুষ, নিদেন পুরুষও ভাবিনি, তারই কান মুলছে সভ্যতার - সহজ এরকমই সত্য সত্য এরকমই ব্যঞ্জনামূলক তুচ্ছতাচ্ছিল্য সরল পাদপ ঝাপটের ধুলো মেখে পতনের টালমাটালে দাঁড়াতেই হয় নীচে তার একা শুয়ে হাসে সত্য মর্গের টেবিলে লোহিত সে এমনই সহজ এরকম যাদুকর বেয়াড়া হাস্যকর করে আঁকে সভ্যতার শকুন চেহারা
পাঁজরে পা-রাখার শব্দের আশায় যা-ই লিখছি তাই হয়ে যাচ্ছে জল যে রাস্তায় যাই আকাল নিষ্ফল ওষ্ঠে রাখা ঠোঁট এ হৃদয়বিলাস চির স্বপ্নদোষ আত্ম-উল্লাস পদচিহ্ন সব ভোটচিহ্ন সব মনুষ্যত্বের কাছে এসে নীরব শস্ত্রগান চুপে মন্ত্রগান খুব মদ্যগানে চুর অর্থজ্ঞান খুব যা-ই ভাঁজছি তান, যা-ই গাইছি গান যে সুরই লাগাই, অর্থকরী টান কোথায় ডোবাচ্ছে কী রঙে রাঙাচ্ছে তাকে নিগূঢ় জল গোপন আহ্বান যা সব লিখেছে তা, ভেবেছি যেরকম নিমজ্জ ডুবন্ত পরাজিত আহত সিঁড়ির মতন সে পৃষ্ঠ পেতে আছে গোপনে সুসজ্জিত চোখ মুদে সজাগ আগামী আলোকের তিমির ঘাতকের পাঁজরে পা-রাখার শব্দের আশায়।  
জেগে ওঠো বসন্তে জেগে ওঠো অবিরাম ফুলের জোয়ার অন্তর্গত সুরেলা ঝরনা  _ শীতার্ত হলুদ পাতার মর্মরিত গানে, কান্নায় নাচো খুব বর্ণিল গুলাল পেলব প্রত্যঙ্গগুলি অথবা শীর্ণ হাড়ের শীর্ষ পাঁজর বা হৃদয়ের খাঁজ কুসুমিত পালশে শিমুলে জেগে ওঠো স্বপ্নের রঙ জেগে ওঠো আমাদের প্রেম প্রতিরোধ বিপ্লবের ফেনা বসন্ত নির্ঘোষের কাল উঁকি দেয় লুকায়িত ডানা জেগে ওঠো শয়তান তুমিও স্মরণে আনো উত্থানের সরক্ত বেদনা রক্তিম প্রিয় শ্রেয় প্রতিবাদ উচ্ছ্বাস স্বপ্ন উড়ালের তলে স্বয়ম্ভু জাতকের কীট-কণা শুয়ে থাকো, জেগে ওঠো তোমারও বসন্ত দিন বেদম উল্লাসের রাত পুড়িয়ে মারো নৃত্য কর, চিয়ার্স আমকে ভুলতে দিও না বিপ্লবের সরক্ত বেদনা। 
পাথর তন্ময় বীর লিখব না কিছু লিখব না মরে গেলে সন্তান আমি কী কবিতা ভাবতাম বসন্ত এমন বসন্তে আত্মজের রক্তে শয়ান আমি কী কবিতা ভাবতাম পাথর সমস্ত পাথর সবুজ প্রাণের ক্ষেতে আমার বুকের চাঁদ লাল হয়ে আছে।