নিতান্ত পোশাক মাত্র নয়
তারও ভেতরে এত গোপনীয়
তোমাদের দেখে
শেখা
দুয়ারে আগল, তালাচাবি
সভ্যতার
অবিশ্বাসী আমদানি
আমাদের বাঁশি
চুরি করে
তোমাদের ঠাকুর
প্রেমিকা কাঁদায়
বিরহ ছিল না
আমাদের, মরদ মরদ ছিল
মেয়েদের পাশে
তাকে পুরুষ
মনে হতনা কখনও
মহেঞ্জোদাড়ো
লোথালের নীচে
কি ভালো যে আছে
শবের শরীর
অনার্য আরক মাখা
এই যোনি জন্ম
উপত্যকা
এই স্তনাগ্রে
অমৃতসুধা
পিতৃশিশ্নে
জন্মবীজ
তোমরাই জ্ঞানাঞ্জনচক্ষুশলাকা
তোমারি কল্যাণে
আজ চোখ ফোটে
কম্পিত সভয় আমার সন্তানের
অপত্য দেখে জনক
জননীর
লজ্জাহীন পৌরাণিক
মহিমা
শরীর যে ভীষণ
লজ্জা
শরীর যে ভীষণ
নাজুক
শরীরের শাঠ্য শোষণ
রাজনীতি
তোমারা শেখালে
যে পোশাক তোমাদের
দান
আমাদের তুলো দিয়ে
বোনা
সভ্যতার নির্লজ্জ
সেনা
নিজেরাই ছিঁড়ে
নিচ্ছ দিবালোকে
সন্তান সাক্ষী
রেখে জনারণ্যে
হুহুঙ্কার তেজে
প্রায় বিস্মৃত
কেশরীবিক্রম
মাতঙ্গিনী মাতৃমাতন
পিতার বাহুতে
বুকে
শিরায় থাবায় নখে
শান
তীব্র চোখ গর্জনের
নাদ
মায়ের স্তনবৃন্ত নিতম্বের
কঠিনে
প্রতিহত সুসভ্য
কামুক আঁধার
ঘন তিমির কেটে
অরণ্য অতল থেকে
বল্লম ও তীব্র
মশালের হাত
সঙ্গে আছে খর্পরধারিণী
তেজা
উন্মোচক সভ্যতার করুণা
অপার
বিশ্বরূপ
পুনঃদৃষ্ট হল
আমার সন্তানের আজ
ব্রহ্মজ্ঞান হল
কী সহজে শিখে গেল
প্রকৃত সভ্যরা
কাপড় পরে না
এক দিন তাকেও সব
খুলে
ধুলোবালি এসব
মলিন
সুকৌশলী
মন্ত্রপাঠ ঠেলে
দেবালয় আস্বীকার
করে
তুলে নিতে হবে
অনির্বাণ
নির্মোহ নির্মম কঠিন
কৃপাণ।
Comments
Post a Comment