Posts

এই বসন্তে লেখা কবিতা     বসন্ত এসেছে — আঙুর কেউ বেছে কিনবে না দার্জিলিং উধাও হবে ভুটিয়ারা ফিরে পাবে দেশ কিংশুক নামান্তরে পলাশ জেনেশুনে ভুল হবে নির্বিঘ্নে আগুন আহার বে-মালুম শরের আঘাত   আমের বল্লম সোনার কাঞ্চন, গন্ধরাজ রাজ্যজয়, মাতাল বাসনা ভেতরে ভুলিয়ে দেয় ভয় বাঞ্ছিত বসন্তের সেনা মাঝরাতে কাঙ্ক্ষিত কড়া নাড়া স্মৃতিরঙা বসন্তপূর্ণিমা   রঙ রস, ডুবে থাকা ভিজে যাওয়া মলয় বাতাসে এভাবে শেষ নয়, ভঙ্গুর ভেসে থাকা ক্ষণিক আবেশে   তৃষ্ণার্ত চৌচির দিনে চৌদিক প্লাবিত ঝড়ে জীবনের পদে পদে ধুলো আকাশে তাকিয়ে দেখি স্মৃতিচিহ্ন বুকে নিয়ে জীবনের দিকে উড়ে চলে পূর্ণতর কাপাসের তুলো।  
কাঠের নৌকো
সরসুনা কলেজে অনুষ্ঠিত (১৭-১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১২) দু-দিন ব্যাপী জাতীয় স্তরের আলোচনাচক্রে উপস্থাপিত গবেষণাপত্রের নির্বাচিত সংকলন। অনুগ্রেহ করে এই লিঙ্ক দেখুন...
ভোর---- লজ্জানত ভ্রূমধ্য দিগন্ত সীমায় রাত্রির সিঁথি থেকে লাফিয়ে নামছে সূর্য সোনালি চিবুক ও কপোল ক্ষেতে ঊষার রক্তিম বিস্তার ঘোমটা ছিঁড়ে আসা স্বর্ণাভ সকাল এখনও গায়ে তার কলঙ্কের গুঁড়ো অন্ধকার রেণু প্রস্ফুটনের বৃন্তে চিরন্তন কুঁড়ি প্রভাতের পেছনে অন্ধকার মুখ ঘিরে থাকা কূহক প্রপাত লজ্জা ও প্রগলভতা, বৃত্ত ও জ্যা মুক্ত ভয় আর সাহস, সন্দেহ অথচ উল্লাস শস্যভেজা অন্নপূর্ণা আলো                                 আর বুভুক্ষু উন্মোচন মুখোমুখি দ্বা সুপর্ণাবৎ বসে ভোর হল... চিরন্তন রাত হতে চিরন্তন ভোর গড়িয়ে নামছে পূর্ণ বৃত্তের দিকে কী উপহার যথার্থ এই বিবাহসভায় অযাচিত দেখে ফেলা লাবণ্যরাসে এই নাও রবাহূত আগন্তুক বিস্মিত চোখ অথবা নয়নের সেই মাঝখান যেখানে রাত্রির কপাট খুলে ভোর রাত্রির লজ্জারাঙা ভোর ফুটে উঠছে আমার যন্ত্রণার রঙে
http://www.pallab.com/services/BanglaDateToday.js
http://gitabitan-en.blogspot.in/
‘সম্রাটের চেয়ে কিছু কম সম্রাটত্ব’... তন্ময় বীর   সুনীল বলেছিলেন জীবনানন্দ তাঁর প্রিয় কবি, কমলকুমার প্রিয় কথাকার, অথচ ‘এদের দুজনের কোনো লেখার সঙ্গেই আমার কোনো মিল নেই’ কিন্তু চমকে উঠতে হয় যখন জীবনানন্দে পাই- ‘সে শরীর ঈশ্বরের চেয়ে কিছু কম গরীয়ান’ এর মতো শব্দবন্ধ বা ‘তুমি তো জানো না কিছু – না জানিলে,/ আমার সকল গান তবুও তোমায় লক্ষ্য করে’ র সমান্তরালে সুনীলউচ্চারণ - ‘এ কবিতা মধ্যরাত্রে তোমার নিভৃত মুখ লক্ষ্য করে’ । ‘নির্জন স্বাক্ষর’-এর অন্তরালে লীন হয়ে আছে নীরার জন্মবীজ। আজীবন শব্দ অক্ষর কমা ড্যাশ রেফ ও র-এর ফুটকি সমেত শরগতি জিবনানন্দীয় ম্লানমৌনতা থেকে কীভাবে জন্মঋণ পেয়েছে তা সবিশেষ অনুসন্ধেয়। বঙ্কিম রবীন্দ্রনাথকে আপাত অস্বীকারের ছলে উত্তরাধিকারের ভিতে নবনির্মাণে যে সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে সেখানে তিনি তাঁর নিজের বিশেষণেই সম্রাটের মতো। নিজস্বতার শর্তেই তিনি দখলদারি পেয়েছিলেন; যাপনের অকৃত্রিমত্বে জোর অর্জন করেছিলেন ভাষা-সংস্কৃতির অভিভাবকত্বের। এই যে সেদিন লিখলেন - 'অধিকাংশ বাঙালি মূর্খ , তাদের শিল্প-সাহিত্যের কোনও বোধই নেই। অর্ধেকের বেশি বাঙালি তো এখনও পড়তে-লিখতেই জানে না