Posts

ঢেউপুরাণ ঢেউ ভাঙছে পায়ের কাছে থামছে কিছু বিভঙ্গেরই মাঝে কমল করের ঢেউ নাকি-ও কুরঙ্‌ চোখের কটাক্ষতে ওঠা কিছুই নেই অতীত ভবিষ্যৎ দাঁড়িয়ে আছি দাঁড়িয়ে আছি              বৃক্ষবৎ অনন্ত সেই পুকুর পাড়ে স্বপ্নলীনা মানসসরোবরে আকুলতা সামান্য ও জলে প্রতিবিম্বে ভেঙে যাচ্ছি তুমি করছো খান্‌ খান্‌ আমি দেখছি গোটা
যৌনতা হবে ক্রীড়াহীন অতীত ঈশ্বরীয় অভিপ্রায় মুদ্রিত রাখা আছে যাবতীয় প্রোথিত আছে গাঢ় নিশানায় অনির্মোঞ্ছনীয় রঙে ও রেখায়   নেমে যাওয়া সরস সজলে শিখর হতে সমুদ্রলাফ এই সব কারুময় অনুভব স্পর্শমণি চারু শিহরণ   সুখ হবে ব্রীড়াহীন উজ্জ্বল ঊষায় লাবণ্যমধুর অজর অনিঃশেষ অনম্ল পার্শ্বক্রিয়াহীন আমলকী হরিতকী...   অন্তর্গত আদিম স্রষ্টার অত্যন্ত অনভিপ্রেত এই নিরোধী অনচ্ছ নেহা জটিলতা গর্ভমৃত্যু অনায়ু যন্ত্রণা জন্ম জরায়ু   সব লেখা আছে, বিলম্বিত বাল্য পাঠক অপেক্ষা ছিল বাঞ্ছনীয় মুর্খতায় চিত্রিত উরগের উপহারে এ কোন স্বর্গ!   পতনপ্রিয় খনক মানব সাবলীল সহজ হরফ স্খলিত ঈশ্বরীয় স্বপ্নকল্প মগ্নশিলার শিখর ছুঁয়েছে   আদিমের মায়া ডাক ছায়াহীন আলো, যন্ত্রণার মহাকাব্য নির্ভার আলিঙ্গন না আত্মহৃদয় ছিঁড়ে খাওয়া   জরাসন্ধ মানুষ কোন্‌ দিকে যাবে...                          
https://sites.google.com/site/alokathapd/
মৃত্যুকথা ভাববো এখন সময় কোথা আমরা এখন ব্যস্ত ভীষণ কাঠ জোগাড়ে তাবড় তাবড় তত্ত্বকথা,  মানব বিশ্ব প্রপঞ্চ ঘর, গলি-ঘুঁজি, বন-বাদাড়ে নশ্বরতায় জীবন ঘেরা দারুণ বরং দামী এবং উচ্চতর ভাবের কথা জীবন নিয়ে যাপন নিয়ে ইনবিনিয়ে ঘুলিয়ে ঘিলু হট্টগোলে আয়ে ব্যয়ে মৃত্যুকথা ভাববো তোর সময় কোথা সবাই এখন ব্যস্ত ভীষণ শবের দাহে মানবতার মৃত্যু হলে মৃত্যু শোক অশ্রুহীন বরং আরও উথলে ওঠে কফন নিয়ে আদিখ্যেতা ক্ষতিপূরণ রঙিন জল পাশে থাকার আবশ্যতা মিটিয়ে সব শান্ত হলে, সিদ্ধ যখন চতুরালি চমক লাগে, ঝলসে ওঠে ধুরন্ধর ধৃষ্ট চোখ মুখাগ্নির মশালখানা আত্মভুলে নিজের মুখে ছুঁইয়ে আছে এ সভ্যতা
নীরাকে ডিস্কোয় যেতে দেব না
       বসন্তবিলাপ       বিস্মৃতি খুঁড়ে তোলা ম্লানতর প্রাক্তন বর্ণমালা উজ্জ্বল দীর্ঘশ্বাসে ভেজা   বিলাপের কাল সীমাহীন রাজ্যজয়ে চলো   ডালে ডালে নির্ভয় সমারোহ সাংকেতিক এই ঋতু হৃদয় ভাসানোয় পটু এই এর জন্মদোষ পঞ্চমে সর্বনাশ   করবির ডালে ফুটন্ত হৃদয় ছিঁড়ে এনে পুঁতে দাও সুষুপ্ত খোঁপায় বহুকাল আলোকের স্বাদ ভুলে গেছে ভাঙার মহিমা   তুলে আনা যাক ম্লানতর হীনযান প্রোথিত সংকেত কিছু চৈতালি রেণুমাখা স্বপ্নজাত তির্‌ তির্‌   স্পন্দমান অন্তঃশীলা ভস্মঢাকা অতীব সজীব             
এই বসন্তে লেখা কবিতা     বসন্ত এসেছে — আঙুর কেউ বেছে কিনবে না দার্জিলিং উধাও হবে ভুটিয়ারা ফিরে পাবে দেশ কিংশুক নামান্তরে পলাশ জেনেশুনে ভুল হবে নির্বিঘ্নে আগুন আহার বে-মালুম শরের আঘাত   আমের বল্লম সোনার কাঞ্চন, গন্ধরাজ রাজ্যজয়, মাতাল বাসনা ভেতরে ভুলিয়ে দেয় ভয় বাঞ্ছিত বসন্তের সেনা মাঝরাতে কাঙ্ক্ষিত কড়া নাড়া স্মৃতিরঙা বসন্তপূর্ণিমা   রঙ রস, ডুবে থাকা ভিজে যাওয়া মলয় বাতাসে এভাবে শেষ নয়, ভঙ্গুর ভেসে থাকা ক্ষণিক আবেশে   তৃষ্ণার্ত চৌচির দিনে চৌদিক প্লাবিত ঝড়ে জীবনের পদে পদে ধুলো আকাশে তাকিয়ে দেখি স্মৃতিচিহ্ন বুকে নিয়ে জীবনের দিকে উড়ে চলে পূর্ণতর কাপাসের তুলো।