Posts

হাইয়েস্ট পসিবল ব্রাঞ্চ অব পোয়ে ট্রি তন্ময় বীর   ‘হাইয়েস্ট পসিবল ব্রাঞ্চ অব ম্যাথেমাটিকস্‌ আমি বিনয় এখন অশ্বিনী তারায় বসে আছি’ তারপর স্বয়ং গণিতই উদ্বেলিত হয়ে বলে গেল - “আমি হাইয়েস্ট পসিবল ব্রাঞ্চ অব ম্যাথেমাটিকস্‌ বলছি ‘বিনয় মজুমদার, তুমি অশ্বিনী তারায়।”   নক্ষত্রের সাথে বিনয়ের চেনা-শোনা তো একদিনের নয় সেই কবে অত্রি শুনিয়েছিল   কবিতার আঙ্গিক আর বিষয়ের অচিন্ত্যভেদাভেদ তত্ত্বের কথা গণিতের এককের উপমায় –      ........................‘বিনয়, শোনো, যে-কোনো যন্ত্রের তত্ত্ব পরিবর্তনের      চেষ্টা যদি করো, যদি পরিবর্তিতই করো তবে সেই যন্ত্রটির অবয়বটিও      স্বতই সমমুহূর্তে নিজেই পরিবর্তিত হ’য়ে যায় যথোচিত রূপ পেতে পেতে।      ফের বিপরীতভাবে আকার পরিবর্তিত করো যদি তবে তাতে নিহিত তত্ত্বও      স্বতই তদনুরূপ হ’তে-হ’তে যেতে থাকে, কবিতার সঙ্গে তার ভাবের ব্যাপার      এই একই চিরকাল এই একই সৃষ্টি আর সৃষ্টিধৃত ভাবটির সম্পর্ক ও যোগ।      ভাব আর অবয়ব – এ-দুটিকে কোনোক্রমে পৃথক, বিচ্ছিন্ন করা অসম্ভব ব’লে      ও-দুটি প্রকৃতপক্ষে দুই নামে এক বস্তু, কেবল অদৃশ্য ব’লে ভবাবা হ’লে ভাব,      আর
গুয়াহাটি পর্ব- ৩ তন্ময় বীর ভেবেছিলাম নামার সময়ও হেঁটে নামবো। কামাখ্যা খুব একটা উঁচু বলে মনে হয়নি। সবে মাত্র একটা ব্যর্থতার নদীঘাট থেকে ফিরেছি।   লাইনে দাঁড়িয়ে দেবীদর্শন, প্রকৃতার্থে বলা যায় মন্দিরের অন্দরদর্শন; ধর্মস্থানের ভেতর নিয়ে আমি বরাবর সোৎসুক, মানুষের চিররহস্যাবৃত অন্তরমহল যেন তার দোসর পেয়েছে এখানে; ভক্তদের উচ্চস্বরে দেবীমহিমাগানে অনাবিল আকুতি, ধন্যবাদ আর আবেদনের মূর্ত প্রশ্বাস নিশ্বাস ও জয়ধ্বনিস্রোতে মিশে গিয়ে আবার স্পষ্টআকাশতলে স্বতন্ত্র হতে সন্ধ্যা নামল। ততক্ষণে ঝলমলিয়ে উঠেছে   তমোনাশ সভ্যতার আলো। তবু মনে হল কতটুকু আর পথ? বরং বেশ ভালোই লাগবে পাহাড়ি রাস্তায় সান্ধ্য অবতরণ।   ধর্ম – মানুষের আদিম অন্ধকার কন্দর, আর প্রকৃতির নিজস্ব নিশা এদের ভেতর দিয়ে সভ্যতার স্পষ্টালোকের দিকে হাঁটা বেশ লোভনীয় মনে হল। কিন্তু সাথী বলে উঠল, ‘অসম্ভব; দিনের বেলায় প্রকাশ্য রাজপথে বাঘ দাঁড়িয়ে থাকার খবর কি পড়ো নি!’ অগত্যা গাড়ি... বাঘ নেমে আসে পথ খুব শ্বাপদসংকুল উজ্জ্বল মাংসাশী নামে আদিম আঁধার থেকে বহ্নিমান স্পষ্ট দিবালোকে নিজের ভিতর তাকানো গেল, আমরা কেউই স্পষ্ট আলোকে নিজের সবটু
হাঁড়ি বললেই ভাতকথা মনে পড়ে চাল বললেই ক্ষিদে উপাচারে ষোলো বিকল্পে ছিল পরমান্নের কথামালা রাস্তা বললে সমাধান আসে মনে ফুল বললেই খোঁপা বিচিত্র ইকেবানা বিন্যাস পথ চেয়ে ছিল লাজুক দোপাটি আয়নায় মুখ ভাসে কার নিজের, নিজের; উজ্জ্বল দুর্ভেদী অহং অভ্রংলিহ পৃথিবী আড়াল প্রেক্ষাপটে এক বললেই একক শুধু খুব মৌলবাদ উপচানো হাঁড়ি সুরাহার চৌরাস্তায় বিনোদ বেণী রাক্ষসে খাক আপনাকে আজ আপনি চিনুক চৌচির ছিঁড়ে ছিন্ন করুন বহুত্ববাদী বাউল  
একটি ভালো সাইট...

প্রথম চিঠি

  প্রথম চিঠি গোপন মোড়কে চিঠি ছুঁয়ে দেখ কেমন আগুন পড়ে  দেখ  কেমন ফাগুন কোথায়  লেগেছে তার  টান প্রতি বর্ণে নত সমর্পণ এক হাতে কলম যুদ্ধ অন্য হাত স্বর্গে মুগ্ধ সেতারে সেধেছে কোন্‌ তান                                                     দু'চোখে বহ্নি জ্বেলে পড়ো                                                     দু'চোখে বর্শা নিয়ে পড়ো                                                     দু'চোখে তুচ্ছ ভেবে পড়ো                                                     দু'চোখে পলকহীন পড়ো যে চোখে লিখেছি আমি সে চোখে চোখ রেখে পড়ো                                                     চিঠি শুধু!                                                     হৃদয়                                                     স্পন্দন                                                     ঝরোখা নয়? সূর্যমুখী অঙ্কুরিত আশা জাল বোনা আকাশকুসুম অন্ধকার- আলো- বিমুগ্ধ প্রত্যাশা                                                                           ছুঁয়ে দেখ কেমন আগুন                          
আমাদের শরীর শুধু বল্লরী বন্ধনহীন স্বোচ্ছাসিত উদ্ধত কামনার কার্মুক স্বাগতম ঝুলে আছে মাধবীমঞ্জরী কপোলস্পর্শী সুরঞ্জনী ওষ্ঠের চুমু প্রতিস্পর্ধী আবরণ ছেঁড়া ভুঁইচাপা নির্বানী কদমবাহার ঘন বাদলের কানে। ওই তো উদ্ধত গ্লাডিলাসের প'রে প্লাবণী পলাশ, কৃষ্ণ রাধার বিন্যাস রক্ত জবার গর্ভমুণ্ডে রম্য প্রজাপতি বর্ণগৌরবহীন ভ্রমরার গায়ে সানুরাগী  স্বর্ণালী আলো নির্বিন্ধ্যার  লোভনীয়  জলাবর্ত নাভি জ্ঞাতআস্বাদী বিলক্ষণ জানে চেনে ওই বিবৃতজঘন মহিমা অবশা নদী, সাগর সফেন  কেমন অমৃতনিস্যন্দী শুয়ে থাকে। চূড়ায় সন্নিবদ্ধ ঘনশ্যাম সুমেরু স্তনের উপমাউজ্জ্বল     আমদেরই শরীর শুধু বিপন্ন বিষাদ পণ্যঠেসা আঙুরের লতা অবৈভবী হীন অন্তঃসার সর্বদা সতর্ক প্রহরায় ঘেরা নীবীবন্ধ কাঁচুলি ইত্যাকার জ্বরে  

থোড় বড়ি খাড়া

থোড় বড়ি খাড়া সুবাস কোথা থেকে আসে কোথায় লুকানো আছে কী পথরেখা নেই বহ্নিমান মর্মর চাপা অজ্ঞাত অতীত ধ্বংসাবশেষে গন্ধরাজ ভুল স্মৃতিশোকাতুর জীবাশ্ম দেবত্ব অস্বীকার করা আরক্তিম মাতাল তরণি টলমল ডুবে যায় ভেসে ওঠে শ্যাওলামাখা নবজন্ম অহল্যা উদ্ভাস পাপশোকস্বপ্নসফলতা মৃতসঞ্জীবনী মহেঞ্জোদাড়ো লিপি নিরক্ষর  সভ্যতাকে হেলায় হাস্যাস্পদ করে অনির্বাণ বর্তমান বিবর্তলোভী আবর্তসংগীত