মুখবন্ধ (একটি কাব্যগ্রন্থের মুখবন্ধ) অ্যাল্-গ্রাফ্ প্রেসের জমিদারি মাঝে মাঝে ডিক্রিজারি ভাইরাস পাইক হানাদারি মাঝে মধ্যে গাপ্ হয়ে যায় যাবৎ লেখা-লেখি তারই মধ্যে সনৎ বাবু করেন বসে প্রুফদারি হট্টগোলে দিন কেটে যায় মাঝে মাঝে কাজের চাপে জাগরণে রাত কেটে যায় বেশ তো ব ’ সে কাটছিল দিন হেসে খেলে কষ্টে সৃষ্টে সুখের দুঃখের হিসাবদারি তারই মধ্যে কী উৎপাত বিনা মেঘে বজ্রপাত! যা হবার তা হবেই হবে ভবিতব্য কে খণ্ডাবে – ‘ভূতের বোঝা কে বইবে জীবন একটা ঝকমারি’ এসব ভেবে কী কুক্ষণে আমাদের সেই সনৎ বাবু লাভ-লোকসানের জাবদা খাতায় ভাবনাহীন অগ্র পশ্চাৎ দিলেন লিখে অকস্মাৎ – ‘আমায় দে মা তবিলদারি!’ ঘোর কলি কাল একেই বলে হাতের লক্ষ্মী পা’য়ে ঠ্যালে এখন তাঁরে ঠেকায় কে আমায় অব্দি পাকড়-কে বলেন, ‘লিখুন মুখবন্ধ’ হায় ঈশ্বর খোদাবন্দ গোটা একটা কাব্যগ্রন্থ! সবাই মিলে খুব বকবেন তো কী দুঃসাহস, বুকের পাটা পণ্ড করবেন পুজোর কেনা-কাটা! সকলে তাঁর সমবয়সী ঘুরে বেড়ায় গয়া ও কাশী পুঁটলি বাঁধছে পুণ্যফল
Posts
- Get link
- Other Apps
হাইয়েস্ট পসিবল ব্রাঞ্চ অব পোয়ে ট্রি তন্ময় বীর ‘হাইয়েস্ট পসিবল ব্রাঞ্চ অব ম্যাথেমাটিকস্ আমি বিনয় এখন অশ্বিনী তারায় বসে আছি’ তারপর স্বয়ং গণিতই উদ্বেলিত হয়ে বলে গেল - “আমি হাইয়েস্ট পসিবল ব্রাঞ্চ অব ম্যাথেমাটিকস্ বলছি ‘বিনয় মজুমদার, তুমি অশ্বিনী তারায়।” নক্ষত্রের সাথে বিনয়ের চেনা-শোনা তো একদিনের নয় সেই কবে অত্রি শুনিয়েছিল কবিতার আঙ্গিক আর বিষয়ের অচিন্ত্যভেদাভেদ তত্ত্বের কথা গণিতের এককের উপমায় – ........................‘বিনয়, শোনো, যে-কোনো যন্ত্রের তত্ত্ব পরিবর্তনের চেষ্টা যদি করো, যদি পরিবর্তিতই করো তবে সেই যন্ত্রটির অবয়বটিও স্বতই সমমুহূর্তে নিজেই পরিবর্তিত হ’য়ে যায় যথোচিত রূপ পেতে পেতে। ফের বিপরীতভাবে আকার পরিবর্তিত করো যদি তবে তাতে নিহিত তত্ত্বও স্বতই তদনুরূপ হ’তে-হ’তে যেতে থাকে, কবিতার সঙ্গে তার ভাবের ব্যাপার এই একই চিরকাল এই একই সৃষ্টি আর সৃষ্টিধৃত ভাবটির সম্পর্ক ও যোগ। ভাব আর অবয়ব – এ-দুটিকে কোনোক্রমে পৃথক, বিচ্ছিন্ন করা অসম্ভব ব’লে ও-দুটি প্রকৃতপক্ষে দুই নামে এক বস্তু, কেবল অদৃশ্য ব’লে ভবাবা হ’লে ভাব, আর
- Get link
- Other Apps
গুয়াহাটি পর্ব- ৩ তন্ময় বীর ভেবেছিলাম নামার সময়ও হেঁটে নামবো। কামাখ্যা খুব একটা উঁচু বলে মনে হয়নি। সবে মাত্র একটা ব্যর্থতার নদীঘাট থেকে ফিরেছি। লাইনে দাঁড়িয়ে দেবীদর্শন, প্রকৃতার্থে বলা যায় মন্দিরের অন্দরদর্শন; ধর্মস্থানের ভেতর নিয়ে আমি বরাবর সোৎসুক, মানুষের চিররহস্যাবৃত অন্তরমহল যেন তার দোসর পেয়েছে এখানে; ভক্তদের উচ্চস্বরে দেবীমহিমাগানে অনাবিল আকুতি, ধন্যবাদ আর আবেদনের মূর্ত প্রশ্বাস নিশ্বাস ও জয়ধ্বনিস্রোতে মিশে গিয়ে আবার স্পষ্টআকাশতলে স্বতন্ত্র হতে সন্ধ্যা নামল। ততক্ষণে ঝলমলিয়ে উঠেছে তমোনাশ সভ্যতার আলো। তবু মনে হল কতটুকু আর পথ? বরং বেশ ভালোই লাগবে পাহাড়ি রাস্তায় সান্ধ্য অবতরণ। ধর্ম – মানুষের আদিম অন্ধকার কন্দর, আর প্রকৃতির নিজস্ব নিশা এদের ভেতর দিয়ে সভ্যতার স্পষ্টালোকের দিকে হাঁটা বেশ লোভনীয় মনে হল। কিন্তু সাথী বলে উঠল, ‘অসম্ভব; দিনের বেলায় প্রকাশ্য রাজপথে বাঘ দাঁড়িয়ে থাকার খবর কি পড়ো নি!’ অগত্যা গাড়ি... বাঘ নেমে আসে পথ খুব শ্বাপদসংকুল উজ্জ্বল মাংসাশী নামে আদিম আঁধার থেকে বহ্নিমান স্পষ্ট দিবালোকে নিজের ভিতর তাকানো গেল, আমরা কেউই স্পষ্ট আলোকে নিজের সবটু
- Get link
- Other Apps
হাঁড়ি বললেই ভাতকথা মনে পড়ে চাল বললেই ক্ষিদে উপাচারে ষোলো বিকল্পে ছিল পরমান্নের কথামালা রাস্তা বললে সমাধান আসে মনে ফুল বললেই খোঁপা বিচিত্র ইকেবানা বিন্যাস পথ চেয়ে ছিল লাজুক দোপাটি আয়নায় মুখ ভাসে কার নিজের, নিজের; উজ্জ্বল দুর্ভেদী অহং অভ্রংলিহ পৃথিবী আড়াল প্রেক্ষাপটে এক বললেই একক শুধু খুব মৌলবাদ উপচানো হাঁড়ি সুরাহার চৌরাস্তায় বিনোদ বেণী রাক্ষসে খাক আপনাকে আজ আপনি চিনুক চৌচির ছিঁড়ে ছিন্ন করুন বহুত্ববাদী বাউল