Posts

ন্যাচারাল, অতি স্বাভাবিক সাইরেন চিল্লাচ্ছে খুব আলোর ঝিলিকে ধাঁধা অ্যাম্বুলেন্সের মাথা । উৎসব শেষ হ’ল কী যেন নির্ণয় হ’ল তরী ভিড়ে গেল শস্ত্রের আগায়। অক্সিজেন ঢুকে আছে নলে জলের লবণ যায় সূচ বেধা ধমনী শিরায়। এই তো বিনিময়ে পাওয়া এই তো দাওয়াই, প্রতিদানে — বড়ো উৎসব চারিদিকে ধূমধাম খুব রঙিন আবির ঝড় মুখ চেনা ভার। জরুরি বিভাগে ভিড় সকলে আসে না, কেউ কেউ এসে উঠতে পারে... প্রতিবাদী, নিমকহারাম, বিরোধী এসবই প্রাপ্য ওদের শালা— কত ধানে কত চাল, খাও! কোন কাছারিতে যাবে, যাও সব শুনশান, শিশিরের শব্দের মতন রক্তপাত, আশ্রুপাত হয়। নীরবতা খান খান করে সেবা গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স বলে — তফাৎ যাও, তফাৎ যাও * মিথ্যে নয় মিথ্যে নয় ঝুটা হ্যায় এই রাত এই হতাহত নিশুতি, নিরস্ত্রের হাহাধ্বনি যারা খুব ভয়ে ছিল টিকটিকিতেও চমকাতো তারা আজ নির্ভয়! কী আলো এসেছে আহা জন্মান্ধের চোখে! * কে দেখে নিশ্চিত করে? বাইরে দেখা চোখের আলোয়— শরীরের এত ‘আপন আলো’ হ্যালো, জ্যোতি এত সকলের রোদচশমা বিকোচ্ছে ভালো বিদেশি ছাপের। * ছাপ! ও
মণিপুরি গল্পের অনুবাদ, অনুবাদক (ইংরেজি থেকে) তন্ময় বীর মরা সোঁতার মাছ স্মৃতিকুমার সিন্‌হা রবিবারের সকাল। রাজেন ঘুম থেকে উঠে দেওয়াল ঘড়ির দিকে তাকালো। ন’টা চল্লিশ। কপাল থেকে মাথার মাঝ বরাবর হাত বোলাতে গিয়ে অনুভব করল মাথার মাঝখানটায় চুল নেই। শূন্য মাঠ। হবেই বা না কেনো? ক্লার্ক থেকে সুপারিন্টেন্ডেন্ট হওয়া পর্যন্ত বয়সটা কী একই থাকবে?  সীমার রেখে যাওয়া লেবু চা-এ কয়েকটা চুমুক দিয়ে বারান্দায় গেলো। সিগারেট জ্বালিয়ে ঝপাস্‌ করে ইজি চেয়ারে বসে পড়ল। বসার সাথে সাথে মেদের স্তরে যেন ভূমিকম্প হলো, তা স্তিমিত হতে সময়ও নিলো একটু। ক্লান্তির শ্বাস ফেলল। উম্‌, এখনো গন্ধটা আছে। যতই হোক, মিলিটারিদের ব্রান্ড। তাছাড়া কাল রাতের পরিমাণটা একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিল। প্রথম দিকে সীমাকে লুকানোর জন্য এক পেগ হুইস্কি খাবার পরও পান-তামাক খেয়ে মুখের গন্ধ চাপা দিতে হতো। আর এখন শোয়ার ঘরের টেবিলে সারা রাত স্বয়ং বোতল জাগ্রত শুয়ে থাকেন। অনেক দিন হল সীমা অনাপত্তির শংসাপত্র দিয়ে দিয়েছে। সেও ইদানিং অন্যরকম জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়েছে।              সিগারেটে জোর টান দিয়ে রঞ্জন সামনের দিকে তাকালো। সূর্যের তাপ বেড়ে উঠেছে। সামনের
জ্ঞানশকুন্তলা আংটি তোমার হারিয়ে গেছে বোয়াল মাছের পেটে ভাবছ বসে গড়িয়াহাটে আঙুল রেখে ঠোঁটে চৌমাথাতে জ্যাম জমেছে ভিড়ে ভিড়াক্কার চতুর্দিকে ছেয়ে আছে দুষ্মন্তরের চর ঝুলে আছে নয়নলোভন মনলোভন চার ওসব নিয়েই ভুলে থাকো মেতে থাকো আর এক্কেবারে ভুলে যাও প্রেমাস্পদের ওয়াদা নবীন তাপস অনসূয়া ঐ যে প্রিয়ম্বদা তারাও যেন গলে গেছে শান্‌শাহী উদ্মাদে তুমি ভাবছ, ঠোঁটে আঙুল, ফেঁসেছ কোন ফাঁদে গভীর তলে ভ্রূণ নড়ে পাচ্ছ তুমি টের পালিয়ে তুমি যেখানেই যাও পিছু পিছু পিতা খুঁজে পেতে হাতিয়ে নিয়ে শেখাবে এক গীতা - ‘মা ফলেষু বিবেচন রাতে বনে মাঠে যেখানেতে যোষিৎ পাবে চিকেন মটন চাটে খুঁটে চুষে শুঁকে দেখো পৌরুষেয় ডাঁটে ফল কী হবে? ভয় পেয়ো না উপরওয়ালার খেল্‌ জনবিপ্লব বুদ্ধিজীবী সুনাগরিক ফেল্‌ পুরু(ষ)বংশ তোমার কী সয় চিন্তা বারোমাস এমনি কী আর খরচ করে জেলে পুষি?   যতন করে সামনে রাখি কাঠিচুষি   গভীরজলে এমনি এমনি বোয়াল মাছের চাষ!’   এসব কথা তুমিও জানো শুনেছ সেই কবে তোমার গর্ভনামেই কিন্তু দেশের নাম হবে ­­­পালিয়ে তুমি যেখানেই যাও চিরকালীন ফাঁদে অব্যর্থ তীর এসে লাগে হরিণ বুকের চাঁ
Image
একটি ভারতীয় গল্প (বঙ্গানুবাদ) সংকলনের ^ মুখবন্ধ তন্ময় বীর ভাষা রাষ্ট্রের একমাত্র পরিচয় নয় বা রাষ্ট্র ভাষারও একমাত্র পরিচয় নয়। ভাষা রাষ্ট্রকে তোয়াক্কা করে না; রাষ্ট্র ততখানি ভাষা-উদাসীন হতে পারে না বরং সে ভাষার সহায়তা-উন্মুখ; সে ভাষাকে শস্ত্ররূপ দেয়। ‘ভারত’-পরিচয়ে ভাষা তেমনভাবে সংহতিসহায়ক নয়; উপরন্তু তাকে অকেন্দ্রায়িত করে দিতে চায়। তবে ভাষাশক্তিতো একক ও সর্বৈব নয়। ধর্ম, কৌম, জীবিকা, বাসভূমি, সামাজিক নিগঢ় প্রভৃতি এরাও শক্তিধর। এগুলির অসমচারিত্রিক বিস্তার একইরকমভাবে ভারতীয়ত্ব-বান্ধব নয়। এতদ্‌সত্ত্বেও, অসমকত্বের ময়লা চাদরের নীচে অন্তঃপ্রবাহী ভারতীয়ত্ববোধের জাদু যেভাবে অজর জীবন্ত থাকে পুরাণ, মহাকাব্য, রাজনীতি ও সমাজনীতিতে তা বিস্ময়ের।  ত্রিখণ্ডিত স্বাধীনতা বিন্যাসের পরও তা মলিন হয় না! ভারতীয়তার ধারণা কী স্বাধীনোত্তর সার্বভৌম ভারত-এর একক সম্পত্তি, নাকি তার আঁচল ছড়িয়ে আছে সীমান্ত ছাড়িয়ে পূর্ব-পাশ্চিমে আবহমান; ধর্ম-রক্ত-অশ্রু উত্থান-পতন ভুল-ঠিক মৌলবাদ-উদারতায় মিলেমিশে মহাকাব্যিক মহানতায়? নাকি ‘ভারতীয়ত্ব’-এর দুটি পর্ব : স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও স্বাধীনোত্তর ভারতীয়ত্ব? ভারতীয়ত্ব একটি ব
উদারতন্ত্র তোর কথা শুনবো বলে লম্বকর্ণ আদর করে ছোঁবো বলে সূর্পণখা চুমোয় চুমোয় ভ'রে দেবো তোকে আদরিনী বড়ো দেখে ভয় করিস না মুখ ওই যে তুমি কেক এনেছো  রাইডিং রেড জিভের বহর ওরই তরে লক্‌ লক্‌ দেখবো বলে দু'চোখ ভ'রে আমার নয়নমণি বড়ো বলে ভয় পেয়ো না হুড নিদ্রায় আছেন তোর ঠান্‌দিদিমনি তুমিও এসো ঘুমাও সোনামনি ঘুম পাড়ানো গান শোনাবো তান বেঁধেছি সুর ভেঁজেছি মেজে ঘষে বহু যতন করে লোভ সধেছি তল জঠরে দরজা খোলা অহরহ দিনরাত্রি তোর বিহনে মরো মরো বুকের কাছে মুখের কাছে আয় ক্ষুধা জ্বরের সীমার মধ্যে আয় ঠানদিদি তোর ঘুমে কাদা তুইও ওঁর সঙ্গে যাবি আয়