Posts

জেগে ওঠো বসন্তে জেগে ওঠো অবিরাম ফুলের জোয়ার অন্তর্গত সুরেলা ঝরনা  _ শীতার্ত হলুদ পাতার মর্মরিত গানে, কান্নায় নাচো খুব বর্ণিল গুলাল পেলব প্রত্যঙ্গগুলি অথবা শীর্ণ হাড়ের শীর্ষ পাঁজর বা হৃদয়ের খাঁজ কুসুমিত পালশে শিমুলে জেগে ওঠো স্বপ্নের রঙ জেগে ওঠো আমাদের প্রেম প্রতিরোধ বিপ্লবের ফেনা বসন্ত নির্ঘোষের কাল উঁকি দেয় লুকায়িত ডানা জেগে ওঠো শয়তান তুমিও স্মরণে আনো উত্থানের সরক্ত বেদনা রক্তিম প্রিয় শ্রেয় প্রতিবাদ উচ্ছ্বাস স্বপ্ন উড়ালের তলে স্বয়ম্ভু জাতকের কীট-কণা শুয়ে থাকো, জেগে ওঠো তোমারও বসন্ত দিন বেদম উল্লাসের রাত পুড়িয়ে মারো নৃত্য কর, চিয়ার্স আমকে ভুলতে দিও না বিপ্লবের সরক্ত বেদনা। 
পাথর তন্ময় বীর লিখব না কিছু লিখব না মরে গেলে সন্তান আমি কী কবিতা ভাবতাম বসন্ত এমন বসন্তে আত্মজের রক্তে শয়ান আমি কী কবিতা ভাবতাম পাথর সমস্ত পাথর সবুজ প্রাণের ক্ষেতে আমার বুকের চাঁদ লাল হয়ে আছে।
শীতযাপন শীতকাল এসে গেল ত্বকের যত্নাত্তির কাল অন্দরবাসী দুই সুপর্ণা একটি বসন্তবর্ষাশরৎউষ্ণতা চায় অন্যটি কেবলই হিমের পরশ সেই সব বালাই, যার কোনো প্রতিষেধক মিলল না সেই সব অধোগমন শতাব্দী পেরিয়ে এসে মহামানবের বাণী যার কাছে লজ্জা পায় সেই সব কাদা সহস্র সূর্যাভায়  এখনো পিচ্ছিল হয়ে আছে আয়ুর স্থিরতা আজও এই সুসভ্যতায় পদ্মপত্রনীর কে কখন ঠুকরে দেয় আকছার ভেঙে যায় নীড় পরিশুদ্ধ জলস্পর্শহীন নিয়ত নিহিত স্নান এক পাখি জাড্যের বিপরীতে সুপক্ব স্বাদু পিপ্পল চায় না শীত চায়, শুধু ঘুম *       *         *  হেমন্তকে শীতের সূচনা ভাবা ভ্রম, তারো আছে নিজস্ব নিশ্বাস। না-শীত ও উষ্ণ রমণীয় নির্বেদ। পরিণত মৌন নিজের নাড়ি ধরে মৃত্যুকে বোঝা সাংঘাতিক পৌঢ়বিজ্ঞ কোনও টান নেই, অশ্রু নেই একে কেউ চায় না বরং শীতের পরিধি ভেবে শুকোতে দেয় বিছানা চাদর। *        *         * উদ্যত ও নিবৃতের মাঝে ঐ যে সুফল, নির্বিকার পরিণতিপ্রজ্ঞানী, ঐ তো হেমন্ত দ্রুত মরে যেতে হবে, জানে। তার মরে যাওয়া, বিজ্ঞের ভানে দেখেও দেখবে না কেউ নিশ্চলও সমান অংশীদার সধুতার
বাংলায় বলি তন্ময় বীর সলিডারিটি নয় সংহতি সলিডারিটি নয় সমর্থন শারদীয় বাজার ভুলে যুবক যুবতীর ওই রক্তবমন চুম্বন রাখি ক্ষত ঠোঁটে  দৃপ্ত বুকে কাশ ফুল চোখে তুলো মেঘ স্পন্দনে স্পন্দন রেখে ফুলিয়ে পাঁজর ছাতি  বাংলায় বলি- সংহতি সংহতি এসো আলিঙ্গন আলিঙ্গন ব্রহ্মনাদে - সমর্থন সমর্থন
অমৃতা তন্ময় বীর কথা রইলো – দেখা হবে মেঘের মায়ায় নদীতীর, বিকেল, ঝিলিমিল, আলোয় ছায়ায় এভাবে আর পুড়বো না জ্বলবো না এরকম আর ওয়াদা – মেঘ আনবে পুঞ্জ চিরে ছায়া আনবে অরণ্যানীর এই মিথ্যে সব মায়া বকুনির ফুলঝুরি প্রত্যাশার গন্‌গনি অবিমৃষ্য কাঙাল্‌পনা উপেক্ষার জলে ভাসিয়ে বজ্রের নির্ভীকতায় ভিজে তিতবো আনখশির অনুরাগের উপত্যকায় আকাঙ্ক্ষা উঁচু কামাখ্যার চূড়ায় মেঘ ছায়া তার লুইতের জলে টান টান মেখলা তীব্র মাদলের বিহু কীর্তনের করতাল অঙ্গীকার – গ’লে যাবো গণতন্ত্রের দেশে রঙিন ফানুসের নীচে এই রিয়ালিজমের ম্যাজিক ও বাজি রঙের অধিত্যকায় দ্যাখো তিনিও তাজ্জব! উবু হয়ে বসে আছেন ভানুমতীর রং- বেরং অলীক চিত্রকরের সামনে দেশে কোনো কোতোয়াল নেই কেনানা চৌর্য নেই কোনও ওই সেই সুন্দরীতমা উঠে যাচ্ছেন নিরলম্ব, শূন্যে আকাশে... তোমার ঝারিতে উর্বর হবে যাবতীয় মধ্যাকর্ষণ বাড়বে চন্দ্রপৃষ্ঠে বসতি হবে, স্বপ্নচাষ হবে কথা রইল, প্রত্যয় – উঠে যাবো না শূন্যতায় পুড়ে যাব না নিছক ভেসে যাবো না অনবলম্ব দু’হাতের তালুর মেঘে করলতের ম
http://mobile.nytimes.com/2014/08/14/arts/reading-literature-on-screen-a-price-for-convenience.html?smid=tw-nytimes&_r=0&referrer=