Posts

বরং কথাবার্তা চলুক উস্কানিমূলক তন্ময় বীর   কে মরে গেল আর কে থাকলো বেঁচে এসব নিয়ে কতক্ষণই-বা বিদ্যাচর্চা চলে ক্ষুরের ফলা থেকে লাফিয়ে নিস্তার কে না চায়? চাইলেই কী যায় নাকি বাঁচা দ্বারে দ্বারে লাঠিয়াল তাগাতাবিজদেবদেবী আল্লাখ্রিস্টঈশামুশালাফিংবুদ্ধাজননেতা সটান দাঁড়িয়ে আছে জনগণতান্ত্রিক দেশে। ভর্তুকিযোজনাবিমা এড়িয়ে সুপরিকল্পিত মরে যেতে নিরাসক্তি নির্মোহ লাগে অপরিমেয় নিছক নুনের বিজ্ঞাপনের লাস্য ছেড়ে বাথরুমে যেতে রাজি নই আমি ওসব অপ্রেম বঞ্চনা অবিশ্বাস ভাববার সময় যে কোথা থেকে যে আসে মানুষের! খুব বেশি হলে মলাট থেকে মুছে দেব শিরোনাম, রচয়িতা সম্পাদকের নাম নিরুচ্চার মলাটের ভেতর যেভাবে বাঁচে অ্যান্টি অ্যান্টি অ্যান্টি এবং অ্যান্টি জীবনের বিরুদ্ধে জীবনের প্রস্তাব কে মরে গেল আর কে থাকলো বেঁচে এসব নিয়ে কতক্ষণই-বা বিদ্যাচর্চা চলে বরং কথাবার্তা চলুক উস্কানিমূলক (সুবিমল মিশ্রের কিছু প্রসঙ্গ পরোক্ষে এসেছে এই কবিতায়)
সংযম তন্ময় বীর আমি কী ছোঁব না তাকে -- উজ্জ্বল নীলাভের নীচে জলময় শ্বাপদ জঙ্গলে চরাচর ভেসে যায় যদি সুবর্ণা মদিরার গ্লাস দূরাগত পরিযায়ীর দোহাই দূরত্ব লাঘবী দূরবীন যদি কিছু দেখে ফেলি লোভের ছোঁয়াচ লাগে ঝলকানো বিমুক্ত ডানায় মাছরাঙা তুমিও সাক্ষী জললীন মসৃণ ডলফিন বেঁধে রাখা ডুবে থাকা একাকী  সদল সাম্পান ঈষৎ কলঙ্ক যদি মাখি চিবুক রক্তিম হবে কবি, সংসারী, পানকৌড়ি বনরক্ষক বল্লমধারী পায়ে ফোস্কা ফেলে কিনারে এসে ফিরে যাবো-- যাওয়া কী ন্যায়ত হবে আমিষ অরণ্য থালায় নিরামিষ রেখে যাওয়া সভ্যতার দোহাই মেনে অতল জলজ নাবিক ডানার নাচন চেনা পক্ষিবিদ্‌ সমুদ্রসোহাগী ক্ষুরধা নদী দুঃসাহসী হংসমিথুন শঙ্খলাগা সাপ ও সর্পিণী ঝুঁকে থাকা জলস্পর্শী শাখা সজীব প্রচ্ছায়া তার সুবিস্তৃত লালসার চর বুনো ঘাসের ঘন আড়াল ঝাউ বনের শীৎকার বলো-- আমি কী ছোঁব না তাকে ঘুমাব না পাশে তার দুটো লতা দুটো সোঁতা শুয়ে আছে অসীম বিস্তার
বাংলাদেশের হৃদয় হতে তন্ময় বীর বুলেট এসে লেগেছে এই হাতে বুকে মুখে চোখে এর পর আর কে লিখতে পারে, অন্তত শান্তিতে রক্তপায়ী ওই কোন দেশপ্রেমী ধর্মপ্রাণ ঈশ্বরের সেনাপতি উল্লাসে ফেটে পড়ে শস্ত্রের, আঁধারের, মৃত্যুর কারবারি এর পর কে ভাবতে পারে ছন্দের সুরের বাঁধন ধারালো ধাতব সটান এসে বসেছে গভীরে এখনও শুকায়নি সে বজ্র বিদ্যুৎ কান্নার দাগ সেই চোখে এর পর কে দেখে ভোরের স্বপন যদি কেউ এর পর মানুষকে অবিশ্বাস করে যদি কেউ এর পর মনুষ্যত্বে বিশ্বাস হারায় কাটা শির কাকে আর কবিতা শোনাবো যন্ত্রণায় নীল নিথর নির্বাক চুল থেকে নখ কি লিখব, কি বলব চুপ করে থাকা তাও কি পোষায় সাদা কালো গোয়েরনিকা শাহাবুদ্দিন, ওরকম সুতীব্র যদি মৃত্যুর দিকে ছোটে  অন্ধ অস্পষ্ট সমগ্র আগামীর শরীর বল্গাহীন কথা যদি না শোনে লালনের বিশ্বস্ত একতারা গাড়ি যদি সত্যি সত্যি না চলে করিম বড়ো অন্ধকার বিষম ভাবনা বুঝে ওঠা দায় পদ্মা মেঘনা তিস্তায় ডুবন্ত নাও ঝিলমিল কোন দূরবিনে পথ দেখে মাঝি নিশ্চিত বাঁচায় মরীচিকা অন্ধকার মুর্শিদ, ক্রমশ বাড়ে আঁচড়ায় জীবনের প্রেমহীন প্রান্তরে, সিং দরজায় মৃত্যু এসে চেপেছ দুই কাঁধ
বৃষ্টি পড়ে এমন ভরা বর্ষাকালে কেউ কাছে না থাকলে পরে সৃষ্টিছাড়া বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে স্মৃতি জুড়ে তেমন করে ভেজার মতো ডাকছে না কেউ গভীর কালো মেঘের ভারে দিনের চালে রাতের চালে একনাগাড়ে উথাল পাথাল মনকেমন বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে শহর ভরে পুকুর পাড়ে গ্রামঞ্চলে বার্তা ভেজে  চিকুর ভেজে আলগা বাঁধন সুসংযমে পঙক্তি চরণ তেপান্তরে তটাঞ্চলে আঁধার করে অর্থহীন কিম্বা গভীর অর্থপূর্ণ এলোমেলো ভীষণ ভারি ভীষণ জেদি বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে
নিতান্ত পোশাক মাত্র নয় তারও ভেতরে এত গোপনীয় তোমাদের দেখে শেখা দুয়ারে আগল, তালাচাবি সভ্যতার অবিশ্বাসী আমদানি আমাদের বাঁশি চুরি করে তোমাদের ঠাকুর প্রেমিকা কাঁদায় বিরহ ছিল না আমাদের, মরদ মরদ ছিল মেয়েদের পাশে তাকে পুরুষ মনে হতনা কখনও মহেঞ্জোদাড়ো লোথালের নীচে কি ভালো যে আছে শবের শরীর অনার্য আরক মাখা এই যোনি জন্ম উপত্যকা এই স্তনাগ্রে অমৃতসুধা পিতৃশিশ্নে জন্মবীজ তোমরাই জ্ঞানাঞ্জনচক্ষুশলাকা তোমারি কল্যাণে আজ চোখ ফোটে কম্পিত সভয় আমার সন্তানের অপত্য দেখে জনক জননীর লজ্জাহীন পৌরাণিক মহিমা শরীর যে ভীষণ লজ্জা শরীর যে ভীষণ নাজুক শরীরের শাঠ্য শোষণ রাজনীতি তোমারা শেখালে যে পোশাক তোমাদের দান আমাদের তুলো দিয়ে বোনা সভ্যতার নির্লজ্জ সেনা নিজেরাই ছিঁড়ে নিচ্ছ দিবালোকে সন্তান সাক্ষী রেখে জনারণ্যে হুহুঙ্কার তেজে প্রায় বিস্মৃত কেশরীবিক্রম মাতঙ্গিনী মাতৃমাতন পিতার বাহুতে বুকে শিরায় থাবায় নখে শান তীব্র চোখ গর্জনের নাদ মায়ের স্তনবৃন্ত নিতম্বের কঠিনে প্রতিহত সুসভ্য কামুক আঁধার ঘন তিমির কেটে অরণ্য অতল থেকে বল্লম ও
মহারানি মহারাজা আমি অনুগত খোজা এসব লিখব বলে লিখিনি কিন্তু অচেতনে সত্য ও সোজা এড়িয়ে গেছি সর্বদা কোথাও বীর্যের গন্ধ খুঁজে পবেনাকো তুমি সামান্যতম উত্থিত পতাকা এসব লিখব বলে লিখিনি কিন্তু কাগজের বাঘ, নৌকা সাগরের দারুণ জলে ভাসিয়ে কুড়িয়েছি হাজারও বাহবা মহারানি মহারাজা যাসব লিখব বলে লিখিনি কিন্তু মরে যায়নি খামকা ঘুমিয়ে রয়েছে অজগর চুপে যাসব লিখেছি সব তোমার লেখনী দিয়ে আমার ব্রহ্মাস্ত্র রয়েছে সিন্ধুকে 
কবি তাপস আছি রাতদিন ঘরে বসে জং ধরেছে ঠ্যাং মজ্জায় ফোনে ধরি - হে, তাপস রায় ... ডাক আসে এক কাব্যের আড্ডায় লেখা জমে গেছে ঘন টন্‌ টন্‌ লাগে চাপা মনটায় ফোনে ধরি - হে, তাপস রায় ... ঠিক ছাপা হয় এক পত্রিকায় পিঠে বাঁধা তাঁর চলমান এক ডাকবাক্স মাথায় অবিরাম অলোকরঞ্জন আলোক রায় শনি রবি কফি মগে হৈ হৈ আড্ডায় যাকে ঘিরে বসে যায় কবিতার মক্‌শো খুঁজে পেতে সুইনহোতে কবিকে ছাপায় চুল হিজিবিজ চাপকান দাড়ি ভোরে উঠে ব্যস্ত যোগায়  তাঁর নাম তাপস হে, তাপস রায়