Posts

তার কাছে

কিছু জঙ্গল, অতর্কিত শ্বাপদ নিরাপদ রক্তে রাখে থাবা। অনুশোচনাহীন ফিরে যাওয়ার চেয়ে জিভে কিছু হলাহল, সমুদ্রে উল্কা আর সজারুর কাঁটা নিয়ে পায়ে ষাঁড়াষাঁড়ি বানে ভেসে যেতে চায় অহল্যা চরাচর। জ্বরের কাঁপনে, জ্যোৎস্নার জলে তারার ছাইয়ের মতো সম্বলহীন চলে যাওয়া ভালো- কম্বল বিছানা বালিশ ছিঁড়ে আলেয়া বলয়ের বিস্ময়ে। কিছুই চিনিনা যার ইঙ্গিতে জেনেছি কিছু সুস্বাদু নিঃশ্বাসে।

অবসাদ

আলোর মতন ফুটেছে বাগান-বিলাস অপরাজিতার গায়ে এসে ব’সে বিকেলের আলো কাঞ্চনের থোকা থেকে পাপড়ি ঝ’রে... নীচে কিছু পাতাবাহার, কামিনীর সবুজ। মাটিতে তিনটে অভিমানী শুকনো পাতা... সন্ধ্যালগ্নের সানাই বাজে দূরে। কোথাও যাব না; চুপ করে শুয়ে থাকব নদীহীন দেশে নদীর স্রোতের স্বপ্নে কুয়াশার চাদর জড়িয়ে। না আমার কোনও রাগ নেই, দ্বেষ নেই পাপ নেই, শোক নেই মরে পড়ে থাকা জোনাকির মতো...

রাক্ষস খোক্কস ছোটোলোক

আসলে একটা মানুষ না ৷ একটা প্রাণী একটা গাছও হওয়ার সে যোগ্য না ৷ বুকে শুয়ে একটা সনেট ; তবু তার মিল অমিল, অষ্টক  ষটক গুনছে জ্যান্ত গবেট ৷ প্রেমিক ভাবলে করবে শোক ! আসলে সে একটা গেঁয়ো রাক্ষস খোক্কস ছোটোলোক ৷

স্মৃতি

গঙ্গার নির্জন তরলিত আলো অতীতকে চমকালো। জল মেখে ছুটে আসা আর্দ্র বাতাস ঠোঁট ছুঁয়ে সে কী উচ্ছ্বাস! মিনারের গ'লে পড়া স্মরণে জাগালো। ভেসে থাকা ঝলমলে বিরাট জাহাজে স্বপ্নের ছলাৎ বাজে। ছুটে চলা কালো শ্বাস, সেতুকে কাঁপায়! খাদে নেমে আগুন জাগায়। বাঁধা প'ড়ে নেই কেউ কারুরই কাছে। গঙ্গার নির্জন তরলিত আলো অতীতকে চমকালো। নখের ভুলের দাগে  উজ্জ্বল অম্লান সুখ আঁকা আছে। তবু,বাঁধা         প'ড়ে নেই                   কেউ কারো                                  কাছে।

দূর থেকে কেন ছেড়ে দেব?

এভাবে দূর থেকে কেন ছেড়ে দেবো? একদিন এসো,  দরজায় জুতো রেখে  চেয়ারে হাতব্যাগ আর  টেবিলে চশমা ফোন - পা তুলে দেয়াল হেলান দিয়ে বসো।  কিছু খাবে কিনা জানবো; কানের দুলের ছটা ঘরময়  দেখে নেব কতটা বিরক্তি, অসহায় কাঁধে রাগ, ঘাম।  এক কাপ চা দেবো- খেও, তারপর খুব কাছে গিয়ে  আঙুলও ছোঁব না - কাপ ও ঠোঁটের দূরত্ব থেকে  দেখব ভেজা কিনা দুচোখের কোনা ৷ তারপর আর কিছু না; চলে যেও - হাতব্যাগ চশমা গুছিয়ে,  জুতো পরে, সিঁড়ি বেয়ে, রাস্তা পেরিয়ে --- খাটের চাদরের ভাঁজ  সমান করতে করতে  দরজার দিকে  ফিরেও তাকাব না -

অগ্রিম শুভেচ্ছা

আমাকে গুলি করুন সহৃদয় পুলিশ, পিটিয়ে মেরেও ফেলতে পারেন।  দয়া করে তুলে নিয়ে যাবেন না লক-আপে। এক গারদ থেকে অন্য গারদে নিয়ে কী হবে! চোখের কষ্ট এড়াতে চেপে দিতে পারেন চাকায় হর্ন বাজালে পাঁজর ভাঙার শব্দ শুনবেন না। কিছু একটা বাদী, লঘু বা প্রতিবাদী দেগে দিয়ে এনকাউন্টার করুন পাহাড়ে, জঙ্গলে বা বাজারে - শুধু লাশ উদ্ধার করবেন পরিচয় সহ। উল্টো মতের বন্ধুরা আমাকে মারো আমার দলের লোক আমাকে চেরো । দঙ্গলের মধ্যে অপরাধীর মতো দৌড়োব, মিছিলের আগে জলকামানে বুক পাতব, যা ইচ্ছে স্লোগান লিখে দিন প্ল্যাকার্ডে গলায় ঝুলিয়ে যেকোনো সভায় দাঁড়াব। আমি ভোট দিতে গেলে কাটুন  আমার ট্রেন বাস ফেরি লরি উল্টে যাক, কাজ করতে গিয়ে ভিন রাজ্যে মরে যাই  খনির নিচে, বানে বা ঝঞ্ঝায় - কেউ সাহায্য না করলে নিজেই পথ দেখব- আকন্ঠ মদ খেয়ে  বোমা বানাবার অছিলায় দুর্ভিক্ষের বাহানায়। খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে বজ্রকে ডাকবো আয় আয় - মাথায়; অথবা, পা রেখে নাগিনের বাসায়। কোনওভাবে মরে যেতে চাই সপরিচয়ে। তন্ন তন্ন করে যোগাড় করা ১০৮ টা নীল  সার্টিফিকেটের মালা ছবিতে ঝুলিয়ে  অর্জন করতে চাই সেই পুণ্য - চাকরি । যে স্বর্গের স্বপ্ন লালন করেছে

অসাম ফ্লাইট

জানলা দিয়ে তাকিয়ে দূরে চোখ জুড়োলো মেঘ-ছানারা জড়িয়ে আছে পাহাড় মায়ের চুড়ো। নীচে তখন দীপর বিলে হাজার পাখি নীলাচলের পায়ের কাছে লোহিত ওটা নাকি? কামাখ্যার ওই সোনার শীর্ষে রোদের ঝালর কাজিরাঙা ঘুমিয়ে আছে মুড়ে সবুজ চাদর। হঠাৎ দেখি একটু বড়ো মেঝো মেঘের ছানা প্লেনের কাছে পা ছড়িয়ে করছে তানা-নানা। ডেকে তাকে শুধোই—‘ওরে, যাবি নাকি সাথে?’ — ‘ রূপসী গেছে মা-ও-বাবা, আইতা বরপেটাতে       দাদা গেছে পরশুরামে, খুড়ি থাকেন ডিফু;       সেখান থেকে ফিরল ব’লে, সামনে আছে বিহু।       বরং তুমি আর ক’টা দিন থেকেই পারো যেতে       মিঠাপানি বড়াপানি উল্টাপানি খেতে...' চোখ পাকিয়ে বলি কপট এবং ঈষৎ হেসে —‘ যা খেতে দাও তাহাই খাবো দিলে ভালোবেসে।     মজা করো! ওসব আমি ভালোমতন চিনি     তার চে’ বরং ঘুরিয়ে দিও সৈখোয়া বনানী     ধ’রে ধ’রে চিনিয়ে দিও মেখলা পাড়ের দ্যুতি...    দেখি তবে কুম্ভীগ্রামে থামায় কিনা গতি ? ’ ফিরে এসে এখন মনে ভাবছি বসে ঘরে— যেমন খুশি তেমন হব, যেমন ইচ্ছে ক’রে-  এমন সুযোগ আসে যদি, মেঘের শরীর পাই; কেমন মজা রাজ্য-দেশের কোনও বিভেদ নাই। ছুটে যাব এক নিমেষে আসাম থেকে কেরল মেঘের সাকিন আর কিছু না, মুক্ত আকাশ কেবল যে না

হৃদয়ে পাথর জমে আছে

হৃদয়ে পাথর জমে আছে নড়লে চড়লে ধাক্কা লাগছে খুব নদীর খাতেও জলের শব্দ নেই পাহাড় শীর্ষ অন্ধ ধুলোর ঝড়ে ৷ মেঘলা বিষাদ শুকনো সাগরতটে জোয়ার ভাটায় শুধু কাদা আর বালি বসন্ত দিনে কবন্ধ স্বপ্নেরা ছিঁড়ছে কৃষ্ণচূড়া ৷

প্রজন্ম

তিনি মারা গেলেন শহরে— কিন্তু তার শৈশবের নদীতীর আর হাতে পোঁতা শিরিশ গাছ, পুকুর পাড়ের ঋজু বাঁশ ঝাড় পড়শি ক্ষেতের সোনালি পাট একসঙ্গে ডাক দিলো আকুল। পৈতে তারা ভোর ছল্‌ছল্‌ চোখে হাত জোড় করে এসে দাঁড়াল উজ্জ্বল সেবাসদনের উঁচু দ্বারে। ডিঙি নৌকো এসে লাগলো তীরে জোয়ার কিনারা ছুঁয়ে রাখল জলে যেন তার পায়ে না লাগে কাদা ! নদীচরের ঘাসে আসন সাজিয়ে  হুতাশন-সাথী বাতাসও প্রস্তুত । পুড়ে যাবেন সশব্দে তীব্র শিখায়; ধুয়ে যাবেন ছলছল শান্ত ধারায়।   নির্মোহ দূরদেশী নৌকার পাল আর সন্ধ্যানামা প্রিয়পথে আলোছায়ায় ওপারের অন্তহীন পথের মায়ায়। বাবাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য  তার পদচিহ্ন গ্রাম সকাতর উন্মুখ। আমদের ফিরিয়ে নেওয়ার আলপথ কাঁটায় লতায় শামুকে ভাঙাচোরা। কেউ, কিছু আপেক্ষা করে নেই কালিন্দী ইছামতী সুবর্ণের তীরে।

মুক্ত-বন্ধ

নামেই ছড়া, আসল কথা  বেঁধে রাখা ছন্দকে , ফুলের আকাশ পাপড়ি মেলে  লাটাই থাকে বৃন্ততে। রাজার পুত্র, রাজকুমারী  তেপান্তরে দেয় পাড়ি, পক্ষীরাজের, রাক্ষসীদের  ঘুমের কাছে ঘরবাড়ি।  বড়ো হলেই হয় না বড়ো  দম্ভে ছিঁড়ে দায়িত্বে,  সেই রাজাইতো আসল রাজা মুক্ত যিনি ঋষিত্বে৷

বহির্বঙ্গে বাংলা সাহিত্য

এই লিংকে ক্লিক করে শুনুন 👉   🌏 পাঁচথুপি হরিপদ গৌরীবালা কলেজের আন্তর্জাতিক আন্তর্জালিক আলোচনাচক্র ।পশ্চিমবঙ্গের বাইরের বাংলা সাহিত্যের পরিচয় । তৃতীয় পর্ব - বহির্বঙ্গে বাংলা সাহিত্যের পরিচয় নিয়ে বলছেন ড. তন্ময় বীর।

ভাবনা

টব চায় গাছ থাক গাছ ভাবে টবের সুরক্ষা ফুলগুলি প্রজাপতি-স্বপ্নে দিনরাত ডানার আকাঙ্ক্ষা

মনে রেখো, ভুলে যেও

মনে রেখো - আগুনের তাপে ফেটে পড়া  হত্যায় উদ্যত কৃপাণ ঝলক,  সরীসৃপ বেষ্টনী আর  শুষে নেওয়া মরুভূমি চোখ ৷ মনে রেখো - প্রবাল প্রাচীর তছনছ  তাপহরা ধারাজলে গান,  বিলাপের বসন্ত আর  ফুটে ওঠা সুতৃপ্ত আশোক ৷   মনে রেখো  মনে রেখো  মনে রেখো সব ৷ ভুলে যেও - রয়েছে মনের মালিক এক খুব তার কষ্ট পাওয়া শখ ৷

বাণবেঁধা দিন

  আজ কোনও কথা বলব না - যে ভাষায় গান গাইতে পারি না যে বর্ণমালায় নিজেকে লজ্জা দিই প্রত্যহ যে ভাষায় যুদ্ধ করতে পারি না আপসহীন ভিক্ষেও করতে পারিনা অকুণ্ঠ - ভালোবাসার ওষ্ঠ-অধর যে উচ্চারণে অগভীর শাকান্ন জোটে না যে স্বর ব্যঞ্জনের সেই কণ্ঠ্যতালব্যের আজ হরতাল৷ প্লুত স্বরে নিজকে লজ্জা দেওয়ার তিথি নাসিক্যের কাছে জানবো কারা মৃত ও জীবিত ৷ আমার ভাষা হন্তারকের কাছেই বিচারপ্রার্থী নয় - অশিষ্ট সিংহাসনের উগ্রবাদী নাদ প্রত্যহ আছড়ে ফেলে সোনার অমৃতকলস৷ বুকে বুলেটধারী বীরভাষার অধম উত্তরাধিকারী আমি মহাকাশের মূর্ধা কাঁপানো চিৎকারে অক্ষম৷ আমি আজ জিভে বাণ বিঁধে দিলাম।
গোলাপের দাম চড়েছে হৃদয়ের সেরও বেশ বাড়া ঘন্টা বাজছে মন্দিরেতে  মসজিদে উদাত্ত আজান ক্রুশে বিদ্ধ যিশু বলছে- কাম অন কাম অন তোমরা যে যাই বলো বলো, জ্বলন্ত এই রোম শহরে বাঁশির এখন খুব প্রয়োজন; চন্দন ফুলে বরণ করে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দাগা কামান, কামান

মাতাল হওয়ার রাত

দেখো, আলোয় আলোয় আকাশ উথাল; আজকে মাতাল হওয়ার দিন। পুড়িয়ে দেয়ার শূন্য করার ফানুস ওড়ার.... শব্দে ভীষণ নিজেকে চৌচির ৷ শোনো, আজকে তামস মোছার রাত্রি ; চোখের তারায় রক্তজবায় মুন্ডু কাটার... উঁচিয়ে কৃপাণ ভাঙছি জঞ্জির ৷ আজকে মাতাল হওয়ার রাত আজকে মুক্ত হাওয়ায় নেশা, ঘূর্ণিঝড়ে নাভিতে রেখে দাঁত অন্ধকারের উৎস উৎখাত ৷

নীরবতা

জানি আজ কথা বলতে সংকোচ অক্ষত নেই খুলে দেখানোর মতো গৌরবে৷ রাতের পর্দার রং ধোয়া দিনের আলো- চোখের কোনায় ও কণ্ঠের সচরাচরের উপর হেমন্তের দ্বিধা এসে পড়ে খণ্ডিত৷ যদি কচি কলাপাতা সবুজ এসে সামনে, সরোবরের স্বচ্ছ ঢেউ এসে আনত ইথারের আকাশজিজ্ঞাসা বসে পাশে; শালসেগুনের রাজন্য বিষাদ নিয়ে চকমেলানো দেউড়িতে সপ্রশ্ন দাঁড়ায়?? নীরবতা ছাড়া আর কিছু ভাগশেষ নেই ৷ যেভাবে দঁডিয়ে থাকে রাজবাড়ি- বিত্তমধ্যের ভ্রমণ রোমাঞ্চের কঙ্কাল ঝলমলে ফটোর ফ্রেমে নিরুত্তর।

তরল বিদ্যুৎ বজ্রজল

সুখের শিঞ্জিনী বাজাতে বাজাতে রাজপথ দিয়ে চলেছো হংসিনী; বিভাজিকা গ'লে যায় দাহ জ্বরে বীথিকার শাখায় পত্রে পল্লবে রুদ্ধশ্বাস শিহরন লাগে ঢেউয়ে। শ্লথ বোতামের আলো লাল নীল পীত জ্বলে আছে যানের নির্দেশ ছলে ৷ কী আর শেখাবে দিঘি জলাশয় কী আর রাঙাবে উৎসবের আলো ! পুলকের আবেশের ঘন মেঘদল গভীরে ভেজায় জামা আশ্লেষে সঙ্গমে ৷ সব নদী, সব জল পায়ের শাসনে - ভেসে যাচ্ছ মন্দাক্রান্তা উথাল পাথাল কীভাবে ফেরাবে থামাবে এ বেসামাল ছলচ্ছল তরল বিদ্যুৎ বজ্রজল !

বলো

যত জোরে না বলতে পারা যায় বলো- চীনের প্রাচীর পেরিয়ে এপারে উড়িয়ে দেবে বিমর্ষ কুয়াশা ৷ এভাবে শুরু করা যায় চাষবাস নিষেধের টাঁড় ভাঙে নচিকেতা পণ ৷ নির্জলা চরে জাগে ঘাসের সবুজ শুকনো চৈত্র চেরে বসন্তপলাশ গান ৷ কেন ডেকে আনো দ্বিধার পসরা জড়তা তোমাকে কী দেয় ? ঈষৎ স্বার্থের স্বাদ আর কিছু নিশ্চিত প্রহরা !  
সবুজ আলোর নাম প্রতীক্ষা, চেয়ে থাকা,  দ্বিধাহীন হাসিমুখে বাধাহীন যেতে দেয়া তার কাঙ্ক্ষিত সুখে।  সবুজ আলোরা ঠিক  গৈরীক উদাস প্রেমিক।
  ভরসাগুলো কোথায় গেল? ভরসাগুলো কোথায় গেল? এতদিনের জমানো ধন তিলোত্তমা সভ্যতার সে ঘামে কেনা সোনা । চোখের দিকে তাকায় না কেউ হাতে হাত — অবিশ্বাসের উই শিকড় যেন বহুকালের বৃন্তেরও অচেনা । নেতা মন্ত্রী সেপাই সান্ত্রী টিকি টুপি খড়ম কষায় হীনজ্যোতি ফঙ্গবেনে অভয়হীন ও ত্যানা। ভরসাগুলো কোথায় গেল ? সুরক্ষিত আগ্নিবলয় আস্থা জমিন সুস্থ সবল আকাশ আলো এক ফুঁয়েতে কে নেভালো! নাকি সবই তেমন আছে চেতন-কোণে, চোখের তারায় শূন্য থালার ঈশান অগ্নি কানায় — নিজেই নিজের ঠুলি এঁটে কপটতর সুযোগবাদী ‘ভরসা নেইকো জলে স্থলে’ ব’লে — তফাত যাও-এর মেহের আলি গুছিয়ে নিচ্ছি নিজের ঘর। 

দৃপ্ত আমি

. কান্না পেলে যেন হেসে উঠতে পারি ঝিলমিলিয়ে উঠে চোখের রুপো জলে অন্ধদের ঠিক পথ দেখাতে পারি একলা হলে যেন একা গাইতে থাকি ভয়ের কারিকুরি ভেঙে দৃপ্ত হাতে জ্বালিয়ে আলো রাখি সুরে না দিই ফাঁকি
মায়াখেলা  ছন্দ জানিনাতো আমি, অতি মন্দ লোক, ছদ্মটানে ধরিতে চাই  মনযোগের বাহবা যশ জ্যোতি যাদুকরের মতন অনুপম -- কাজল চোখের পলক যেন বাঁকা মিথ্যে চোরা স্রোতের ছলে এসে থামে ঘেঁষে খাদের তীর ; নিরুপমা সাঁকোর উপর থির অস্ত আভায় সোনামাখা জলে। যদিও কিছু শিখেও থাকি তবুও ভুলে ভোলাবো দিগ্বিদিগ। পুরাণ মেখে দেখি ইতিহাস মায়ায় তুমি ফেঁসেছো অধিক ।
. কী খেয়ে হওয়ার ছিল মাতাল আর  কিসে পোড়াচ্ছি হাড়-মাস কোথাকার  টিকিট নিয়ে হাতে কোন গাড়িতে উঠি ভুলের ঘোরে তালু থেকে গড়িয়ে যাচ্ছে সব কাটা মাথা, রক্ত চাটে শিয়াল  কার কাছে শপথ ছিল জেতার  কার টানে মেতেছি এই হারায়
  চলাই   অন ­ ন্ত তন্ময় বীর     আর - তো ফিরে যেতে পা রবো না ­ —                  হেরে যেতেও প্রচণ্ড দ্বিধা                    মরে যেতে আপত্তি প্রচুর ।   অন্ত্যমিল দিতে দিতে দিতে     পদ্যকোকিলেরা অল্পরক্ত                পাঁজরে শঙ্কা , সাবধানী সুর।   রুদ্রজলে কে নৌকা ভাসাবে ?                সকলে গুড় ত্রিপল চায়                লাইনে ক্যানেস্তারা দাঁড়ায় !     অভিজ্ঞ পূর্বজ , পিতামাতামহ , তোমাদের অনুমিত মারি পৃথ্বী —     স্বপ্নের সন্ততিরা মিলিয়ে দেখ ছি, কত ঠিক ছিল নক্ষত্র - নির্দেশ ! সদাগরি বহরের পালে লাগে হাহাকারের অনুকূল বাতাস । সুয়োরানীদের সাধের সাতনরি ,   জ্যোৎস্নার সুতোয় বোনানো মখমল সোনার ডিমের মতো শুধু লাভ । ডোবা কিস্তি ভেসে ওঠে রা জ- বরে বিবিধ বিমায় সজ্জিত ঝলমল ।       মান্দাস অগণ্য ভাসে                   ডোবে দীর্ঘশ্বাস চম্পা নগরীর পচা               নিরুপায় লাশ ।                           স্বার্থে স্বার্থে আপসের বেঁধেছে সংঘাত ; তাই শূন্য সুনির্মল আত্মার উল্লাস অবিশ্বাসী চোখে জ্বলে ঈর্ষার